সারাদেশে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং শুরু



Merchant

আজ মঙ্গলবার থেকে পুরো বাংলাদেশে  শুরু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক "লোডশেডিং"। আজ, সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে এ  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন জ্বালানি বিষয়ে উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং সময়সূচী।


ইতিমধ্যেই সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিং সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আকারে দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে সোমবার (১৮ই জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে এলাকা ভিত্তিক ১-২ ঘন্টা লোডশেডিং।  রাত আটটার পর শপিংমলসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট দোকান-পাঠ খোলা না রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও দেশের সকল নাগরিকদের জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। ঢাকা "পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড" এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন তারা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং সময়সূচী তৈরি করে তা ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন।

যে ওয়েবসাইটে থেকে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকগণ তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের এলাকার সম্ভাব্য লোডশেডিং এর সময়সূচী জানতে পারবে।


অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে দেশের সকল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিকে লোডশেডিং এর সময়সূচি তৈরি করে অতি দ্রুত তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে। গ্রাহকরা এই সময়সূচির তথ্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও বিদ্যুৎ প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবে।


সোমবার (১৮ই জুলাই) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে থেকে সারাদেশের সবাইকে বলা হয় বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের এসি বন্ধ ও দোকান-পাট ও শপিংমল রাত ৮ঃ০০ টার পর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল। 

অপরদিকে সরকারি সকল ধরনের অফিস ভার্চুয়াল ভাবে পরিচালনা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সিএনজি,পেট্রোল পাম্প গুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার ঘোষণা যাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। (বি.দ্র.ঃ- অবশ্য সিএনজি পামগুলো সপ্তাহের ছুটিরদিন বন্ধ রাখা হবে না।) বাস,ট্রাক ইত্যাদি গাড়িতে তেলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো বন্ধ রাখা হবে।



Post a Comment

0 Comments